এখনই নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত ১০জন। তাই আবারও বলছি সাবধান। এখনো সময় আছে লকডাউন কার্যকর করুন।
যে সময় নোয়াখালীকে লকডাউন করা হয়েছে। তা মোটমুটি ঠিক সময় ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও তা ঠিকমতো পালন করছেন না অনেকেই। সাধরণ মানুষ যেমন চোর পুলিশ খেলছে, তেমনি প্রশাসনও ঢিলেঢালা কাজ করছে।
প্রত্যেক উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও প্রত্যেকদিন এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় যাতায়াত হচ্ছে অবাধে। পুলিশের চেক পোস্ট থাকলেও তারা পাশে বসে মোবাইল দেখছে। যানবাহনও চলছে। যদি তাই না হতো, এত মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটোরিকশা, নির্মাণ সামগ্রীবাহী ট্রাক কিভাবে চলে?
ত্রাণ দেওয়ার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেটার দায়িত্ব ভাগাভাগি করে দিন। যেভাবে পুলিশ, প্রশাসন ত্রাণ দিচ্ছে, মনে হচ্ছে করোনার সময় শুধু ত্রাণ দিলেই করোনা চলে যাবে।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতি অনুরোধ, আপনারা লকডাউনটাকে আরও কঠোর করুন। না হয় পুরো নোয়াখালী শেষ হয়ে যাবে।
যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের বলবো, আপনারা ত্রাণ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিন। কারণ পরিস্থির উন্নতি হলে আবার কোনো এক সময় আপনাদের আবারও মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে। যদি এখন না যান, ভবিষ্যতে কপালে খারাপি আছে। সুতরাং জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ নিয়ে মানুষের বাড়িতে গেলে দেখবেন, সাধারণ মানুষ এমনিতেই বাড়ি-ঘর থেকে আর বের হবে না। তখন করোনা মোকাবিলা আরও সহজ হবে।
লেখক: সাংবাদিক