স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ সব বন্ধ থাকবে।’ সোমবার (২৭ এপ্রিল) গণবভন থেকে রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলার জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন করোনার সংক্রমণ থামবে, তখনই স্কুল-কলেজ খুলবো।’ আর যেন বেশি জনসমাগম যেন, সে ব্যাপারেও দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
এ সময় মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনসহ ধর্মীয় আলেমদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্মীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা মসজিদে সীমিত আকারে তারাবি আদায় করবেন। মসজিদে ১০-১২ জন থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঘরে বসে সবাই নামাজ পড়তে পারেন। কারণ আমরা ঘরে পড়ে যাচ্ছি। ঘরে বসে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করুন। এই করোনার হাত থেকে যেন বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুক্তি পায়। আর যেন মানুষের জীবন ক্ষয় না হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করছি, এ পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠবো, এ অবস্থা থাকবে না। আমাদের কলকারখানা আবার চালু হবে, অর্থনীতি সচল হবে। সে বিষয়ে আমরা বিশেষভাবে কাজ করে যাবো।’
এ সময় কৃষিখাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার আলাদা তহবিল গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, যেন কৃষিকাজ অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র-মাঝারি কৃষিতে যারা সরাসরি কাজ করে বিশেষ করে পোল্ট্রি, মৎস্য, ডেইরি ফার্মসহ প্রত্যেকে সহযোগিতা পাবে।’
বোরো ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সংগ্রহ করা হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ৮০ হাজার মেট্রিক টন গম সংগ্রহ করবো।’
ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী বিভাগের যে আট জেলার জনপ্রতিনিধি ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছিলেন, সেই জেলাগুলো হলো—বগুড়া, চাপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জ। সূত্র: বাসস