নোয়াখালী জেলার মাইজদীতে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে প্রাইম হাসপাতালকে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মাইজদীর উকিলপাড়ায় এসএম নাজমুল হুদা নামের এক ভুয়া ডাক্তারকে প্রতারণা করার দায়ে আট মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান এই জরিমানা ও কারাদণ্ডের আদেশ দেন ।
মো. রোকনুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে অভিযোগের পর জেলা শহরের হাসপাতাল রোড এলাকায় প্রাইম হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনাকালে হাসপাতালের শয্যা অনুয়ায়ী ১৫ জন ডিউটি ডাক্তারের স্থলে পাওয়া গেছে মাত্র তিন জন। অপারেশন থিয়েটার অপরিচ্ছন্ন, ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, ফামের্সির ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ঠিক মাত্রা না পাওয়া ও হাসপাতাল ক্যান্টিনের অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা অপরাধ আমলে নেওয়া হয়। মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২, ঔষধ আইন ১৯৪০ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।’
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী এলাকায় উকিল পাড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিরাময় হাসপাতালের সামনে থেকে এসএম নাজমুল হুদা (৩৯) নামের এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পাশের আকসা গার্ডেন ভবনের তিন তলায় সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তার চিকিৎসা চেম্বারে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার নামে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসা দেওয়ার যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়। এসএম নাজমুল হুদা তার নামের ব্যবস্থাপত্রে ব্যবহার করা ডাক্তার নাম-পদবি-ডিগ্রি ইত্যাদি ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়। তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ধারায় ৮ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে তাকে নোয়াখালী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।’
আদালত পরিচালনায় বিভিন্ন মামলায় প্রসিকিউট করেন নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান, নোয়াখালীর ড্রাগ সুপার মাসুদ হাসান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।