অন্যান্য সাহিত্য

জীবনের যতিচিহ্নগুলো-১৫


[পর্ব-১৫: প্রাইমারি স্কুল পর্ব]
বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমি টেনেটুনে পাস।  রোল সম্ভবত ১১ বা ১২। অতএব, আমাকে নিয়ে কারও মাতামাতি করার প্রশ্নই আসে না। রোল এক থেকে তিনের মধ্যে ছিল খলিল, বেলাল ও ইলিয়াছ। তাদের তিন জনকে নিয়ে অভিভাবক ও স্যাররা উল্লসিত। অবশ্যই এসব উল্লাস-আনন্দে আমার যেমন আগ্রহ ছিল না, তেমনি কোনো আপসোসও না। আমি বরাবরই নিস্পৃহ। প্রতিযোগিতা আমার পছন্দ নয়। পড়াশোনাও যে ঘড়ির কাঁটা ধরে করেছি, তাও না। হয়তো ডাঙগুলি-মার্বেল বা হাডুডু খেলে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরেছি, মা বলেছেন, ‘পড়তে বোস’। বসেছি কিছুক্ষণ। এরপরই শুরু হয়ে গেছে দুই ভাইয়ের খুনসুটি।

এখানে বলে রাখি, আমাদের এক বোন, দুই ভাই জন্মের কিছু দিন পরপর মারা গেছে। তিন জনই ইসমাইলের ছোট ছিল। এসব কারণে মা সবসময় মনমরা থাকতেন। আমরা দুষ্টুমি করলেও খুব বেশি শাসন করতেন না। একটু বকাটকা দিলেও পরক্ষণে বুকে চেপে কাঁদতেন। বলতেন, ‘আমার মানিক, আমার হাসান-হোসেন। তোরা বেঁচে থাক।’

যেদিন পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলো, সেদিন অনেক অভিভাবক গেলেন স্কুলে। কিন্তু বাবা যাননি। তাই ক্লাস ফোর পাসের ফল জানাতে দোকানে গেলাম। বাবাকে জানাতেই বললেন, ‘আচ্ছা’।  এরপর গেলেন খলিলদের চা দোকানে।  নিয়ে এলেন রসগোল্লা-খাজা। বললেন, ‘খা’। আমাদের দোকানে যে কয়জন কাস্টমার ছিলেন, সবাইকে দিলেন।  রসগোল্লা খাওয়া শেষে বাবা বললেন, ‘মুজাম খলিফার (দর্জি) দোকানে তোর কাকা বসে আছে। যা সালাম দিয়ে আয়।’

মুজাম খলিফার দোকানে যেতেই দেখি, গদির ওপর পা ঝুলিয়ে কাকা বসে আছেন। পা ছুঁয়ে সালাম দিয়ে দাঁড়ালাম। পরীক্ষার ফলের কথা আগে থেকেই জানতেন। কাকা আমার দিকে একপলক তাকালেন। বললেন, ‘পাস করছোস। খুশি হইছি। কিন্তুক শার্ট ছেঁড়া ক্যা? লুঙ্গিতে এত গিঁট ক্যা?’ আমি বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। কাকা নিজেই বললেন, ‘ওই খানে দাঁড়া।’ এরপর দুই রঙের প্রিন্টের কাপড় দেখিয়ে মুজাম খলিফাকে বললেন, ‘ভাই পুতের জামার মাপ নেন। দুইটা শার্ট বানাইয়া দিবেন।’ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তোর ভাই কই? হেতারেও কইবি শাটের মাপ দিয়া যাইতো। হেতারও একই কাপড়ের দুইটা শার্ট।’

মুজাম খলিফার দোকান থেকে বের হয়ে রুদ্ধশ্বাসে দিলাম দৌড়।  হাঁপাতে হাঁপাতে বাড়িতে। উঠোনে থাকতেই দিলাম ডাক—‘ইসমাইল! কাকা তোরে বাজারে যাইতে কইছেন।’ ইসমাইল বের হতেই বিস্তারিত জানালাম। যে দৌড়ে বাড়ি এসেছিলাম, সেই একই গতিতে দৌড়ে পৌঁছে গেলাম মুজাম খলিফার দোকানে।

সেও সঙ্গে-সঙ্গে সাড়া দিলো—‘ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-রে।’ এখানে বলে রাখি, জাফরকে কেউ ডাকলে অন্যদের মতো স্বাভাবিকভাবে সে সাড়া দিতো না।

এতদিন আমরা রেডিমেট জামা পরতাম। এবার দর্জি দোকান থেকে বানানো জামা পরবো। এক অপার্থিব আনন্দে দুই ভাই বিভোর। প্রতিদিন একবার করে দর্জি দোকানে যাই। আমাদের জামা তৈরি হয়েছে কি না, খবর জিজ্ঞাসা করি। মুজাম খলিফা কখনো বলেন, ‘হচ্ছে; কখনো বলেন টাকা আনছো? জামা নিবা কী দিয়া?’ জবাবে আমাদের লাজুক হাসি। কিছুই বলি না।

একদিন রাতে দুজনের জামা নিয়ে এলেন বাবা। ঘুম থেকে তুলে জামা পরিয়ে দেখলেন। রাতে আনন্দে আর আমাদের ঘুম আসে না। দুই ভাই পরদিন কোথায় কোথায় ঘুরতে যাবো, পরিকল্পনায় ব্যস্ত। বাবা বললেন, ‘কাল ঘোরাঘুরির কাজ নাই। যার-যার জিনিসপত্র ঘোচাবা। পরশু কামলা আসবে। ঘর ভাঙবে। আমরা তোদের চাচার বাড়িতে চলে যাবো। এই বাড়ি বেচে দিমু।’

বাবার কথা শুনে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। আমরা নিজেদের ভিটাবাড়ি ছেড়ে চিরতরে চলে যাবো? আমাদের ছেড়ে যেতে হবে—এই বাড়ির পেছনের সুপারি বাগান। রান্নাঘরের উত্তর পাশে বেতবন। বেতফল আর খাওয়া হবে না। লাল টকটকে নাটাইফল, তাও না! ঘরের দক্ষিণ পাশের কলমি ফুলগুলো আর দেখবো না। শিমের ঝোপের ভেতর থেকে ঘুঘু পাখি এনে খাঁচায় পোষা হবে না আর। জেবল হক মেম্বর বাড়ির ডাক্তার, মাঝি বাড়ির ঈমাম, বেকারি বাড়ির মাস্টার—কারও সঙ্গেই আর মার্বেল-ডাংগুলি-হাডুডু খেলা হবে না। জাফর কিংবা দিদার কিংবা ইউসুফের সঙ্গেও আর দেখা হবে না।

উঠোনের দক্ষিণ পাশে একটি  কৃষ্ণচূড়ার চারা লাগিয়েছিলাম গত বর্ষায়। সেটি এখন অনেক বড়। আমার মাথার ওপরে উঠে গেছে। এই গাছটিও রেখে যেতে হবে। আহা কৃষ্ণচূড়ার ফুল নাকি আগুনের মতো লাল হয়! কবে ফুল ধরবে, তাও দেখতে পাবো না। দুই চোখে জল এসে গেলো। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

সকাল হতে না হতেই হাজির হলাম জাফরদের বাড়িতে।  উঠোনে দাঁড়িয়ে দিলাম হাঁক—‘জাফর ঘরে আছতনি?’ সেও সঙ্গে-সঙ্গে সাড়া দিলো—‘ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-রে।’ এখানে বলে রাখি, জাফরকে কেউ ডাকলে অন্যদের মতো স্বাভাবিকভাবে সে সাড়া দিতো না। সে সব সময় এই—‘ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-ইঁ-রে’ সুর তুলেই সাড়া দিতো। আজও দিলো। বললাম, ‘বাইরে আয়।’ এরপর দুই জনে মিলে অনেক শলামর্শ করলাম। কিন্তু উপায় বের করতে পারলাম না।

আমরা জিলাপি খেতে খেতে হাঁটছি। বাড়ি ফিরবো। জাফর কেরোসিন-লবণ কিনেছে। আমার কিছুই কেনার কথা না। তাই বাড়ির পথ ধরলাম। পূর্বদিকে মুখ করেছি মাত্র, দিদার হঠাৎ পিছু হটে গেলো। সঙ্গে জাফরও। 

সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। চরবাটা খাসেরহাট বার। তখন চরবাটা খাসের হাট হাইস্কুলে সিক্সে পড়ে দিদার। সে জ্ঞানে-গরিমায়-বুদ্ধিতে আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাইসাইকেল তা চালিয়ে স্কুলে যায়। ক্লাস থ্রি পর্যন্ত আমরা সহপাঠীই ছিলাম। আমি হাফেজি পড়তে চলে যাওয়ায় গ্যাপ পড়েছে। এই ফাঁকে সে আমার চেয়ে দুই ক্লাস ওপরে উঠে গেছে। জাফর বললো, ‘চল দিদারের লগে কথা কই। কী বুদ্ধি দেই শুনি।’

জাফরের একটা স্বভাব ছিল, মৌসুমি সবজির ব্যবসা করতো। এই বাড়ি-ওই বাড়ি থেকে সবজি সংগ্রহ করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতো। দুই-তিন টাকার বিক্রি করতে পারলেই মহাখুশি। আজও এক আঁটি ছোট ছোট কচুর লতি সংগ্রহ করলো। দুপুরের পর পর আমাদের বাড়ির দরজায় এসে ছাড়লো হাঁক। আমি আগে থেকেই তৈরি ছিলাম। তার ডাক পেয়েই বের হলাম।

হেঁটে-হেঁটে আসরের আজানের সঙ্গে-সঙ্গে খাসের হাটে হাজির হলাম। সবজি বাজারে লতি রাখতে না রাখতে ৫ বা  ৬ টাকায় সব কিনে নিয়ে গেলেন একজন সাহেব গোছের মানুষ। সাহেব বলছি এজন্য যে, আমরা এর আগে সাধারণত হাটবাজারে প্যান্ট-শার্ট-সু পরা মানুষ দেখিনি। সবাইকেই দেখেছি লুঙ্গি-পাঞ্জাবি-শার্টে।

লতি বিক্রি শেষ হলে দিদারের খোঁজে ঘুরতে লাগলাম বাজারে। তাকে পাবো কি না, আগে থেকে জানি না। ভরসা একটাই। জাফর বললো, হাঁটবারে নাকি স্কুল ছুটির পরপরই দিদার বাড়ি যায় না। বাজার থেকে কেরোসিন-সয়াবিল তেল, মসুর ডাল, চিনি, লবণ এসব কিনে বাড়ি ফিরতে ফিরতে পথেই মাগরিবের আজান দেয়। সেই ভরসায় দিদারকে খুঁজতে লাগলাম দুজন। ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে গেলাম একটা জিলাপির দোকানের সামনে। আমাদের দেখে দিদার চমকে উঠলো—‘তোরা?’

জাফর আমার সমস্যার কথা সবিস্তারে জানালো। দিদার সব শুনে বলে, ‘দ্যাখ বাবা-মা যা সিদ্ধান্ত নেন, সেটা মানতে হয়। সেটাই মঙ্গল। তোরা এত বেশি পণ্ডিতি করিছ না।’ তার কথায় মর্মাহত হলাম। কিন্তু কিছু বলতে পারলাম না। চুপচাপ শুনলাম। সে আরও তিনটি জিলাপি নিলো দোকানির কাছ থেকে। নিজে একটি রেখে বাকি দুটি দিলো আমাদের  দুজনকে। আমরা জিলাপি খেতে খেতে হাঁটতে যাবো, এমন সময় ‘সে বলে, বারো আনা দে। আমার কাছে পয়সা নেই।’ জাফর কিছুতেই দেবে না। শেষে আমার কোমরের জালি (নাইলনের চিকন সুতা দিয়ে বানানো এক ধরনের থলে) থেকে দশ পয়সা-পাঁচ পয়সা মিলিয়ে বারো আনা মিটিয়ে দিলাম। আমরা জিলাপি খেতে খেতে হাঁটছি। বাড়ি ফিরবো। জাফর কেরোসিন-লবণ কিনেছে। আমার কিছুই কেনার কথা না। তাই বাড়ির পথ ধরলাম। পূর্বদিকে মুখ করেছি মাত্র, দিদার হঠাৎ পিছু হটে গেলো। সঙ্গে জাফরও।  জাফল বলে, ‘কিরে তুই যাইবি না?’ দিদার কোনো কথা বলে না। চেহারায় স্পষ্ট বিরক্তির ছাপ। এবার এগিয়ে গেলাম—‘তো-তো-তোর কী স-স-স-সমস্যা? যাইবি না?’

আমার দুই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। মনে হতে থাকে—আহা সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্ন হয়ে যাবে এই বাড়ির সঙ্গে জন্মের সম্পর্ক। যেখানে পোঁতা আছে আমাদের পাঁচ ভাই-বোনের নাড়ি। আমি গুমরে উঠি।

এবার দিদার মুখ খোলে। আশে-পাশের কেউ যেন শুনতে না পায়, এমনভাবে চিবিয়ে চিবিয়ে বলে—‘তোর অখন সর। আমার ক্লাসমেটরা আছে। তোগো লগে আমারে দেখলে মান-ইজ্জত আর থাইকবো না।’ তাকিয়ে দেখি—দিদারের পেছনে আমাদের বয়সী দুটি ছেলে। হাফপ্যান্ট পরা। দৃশ্যটি জাফরেরও চোখ এড়ায় না। সে দ্রুত আমার হাত ধরে হেঁচকা টান দেয়। বলে, ‘চল লাট সাবের লগে আঙ্গো আর কোনো সম্পক্ক নাই।’

দুজনেই হাঁটা শুরু। রাস্তায়ই রাত নেমে আসে। ভাগ্যিস চাঁদনী রাত ছিল। রাস্তার দুই পাশে বাবলা গাছ। দখিনা বাতাস বাবলা গাছের চিরল পাতায় শন-শন আওয়াজ তুলে উত্তরের ‍দুনিয়ায় চলে যাচ্ছে। কনকনে শীতের রাত। দুজনের গায়েই চাদর। হাত বের করলেই বাতাস তার হিমেল পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। কুয়াশার কারণে চাঁদের আলো পুরোপুরো রাস্তায় পড়তে পারছে না।

যখন আমাদের বাড়িতে পৌঁছালাম, তখন এশার আজান হচ্ছে।  জাফরকে দেখে মা বললেন, ‘তোরা কই গেছিলিরে?’ জাফর বলে, ‘খাসেরহাট’। মা আর কিছু বলেন না। জাফর বলে, ‘যাই?’ আমি  ‘হ্যাঁ’সূচক মাথা নাড়ি। তারপর সারারাত জেগে থাকি। পরদিন সকালে কামলা আসবে। ঘর ভাঙবে। আমরা বিকালে চরলক্ষ্মী চলে যাবো। কাকার বাড়ি। দিদার তো বুদ্ধি দিলোই না, উল্টো ধমকালো। তদুপরি বন্ধুদের সামনে অপমানও করলো।  এখন তো কোনো উপায় নেই।

সকাল হতেই কামলারা এসে হাজির। ঘর ভাঙা শুরু। দুপুরের পর এসে হাজির জাফর। সেও আমাদের সঙ্গে যাবে। আসরের আজানের পরপরই কামলারা ঘরের চাল-চৌকির সঙ্গে বাঁধলেন কাঁথা-বালিশ-জামা-কাপড়। তারপর দুজন কামলা সেই চাল-চৌকি মাথায় তুলে চৌরাস্তা বাজারের পথ ধরলেন। পেছন পেছন দোকানের হিসাব-কিতাবের খাতা-ট্রাভেল ব্যাগ নিয়ে বাবা।

মাকে নেওয়ার জন্য এলো একটা রিকশা। ওই সময় সচরাচর রিকশা পাওয়া যেতো না। কালেভদ্রে মিলতো। কাকা ব্যবস্থা করে পাঠালেন। তাই পাওয়া গেলো। ছোট ভাই ইসমাইলকে নিয়ে মা রিকশায় চড়ে বসলেন। রিকশার পেছনে আমি ও জাফর। আমাদের বাড়ি পার হয়ে মরিয়মদের বাড়ি। মরিয়ম চিৎকার দিয়ে বলে, ‘ও কাকি চলি যাইতেছেন?’

তার ডাক মা শুনতে পেলেন কি না, জানি না। কিন্তু এই প্রথম আমার বুকের ভেতরটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো। ফিরে তাকালাম পেছনে। দেখি মরিয়ম ও তার মা ঘরের দক্ষিণপাশে দাঁড়িয়ে। মরিয়মের কাঁধের ওপর তার মায়ের হাত। তারা পলকহীন তাকিয়ে আছেন আমাদের বিদায়ী যাত্রাপথের দিকে। আর আমার চোখ চলে গেছে তাদেরও পেছনে—পশ্চিম আকাশে অস্তায়মান সূর্যের দিকে। আমার দুই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। মনে হতে থাকে—আহা সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে ছিন্ন হয়ে যাবে এই বাড়ির সঙ্গে জন্মের সম্পর্ক। যেখানে পোঁতা আছে আমাদের পাঁচ ভাই-বোনের নাড়ি। আমি গুমরে উঠি। জাফর আমাকে জড়িয়ে ধরে। বলে, ‘হাঁটা দে। কান্দিস না।’ ততক্ষণে বাড়ির সবচেয়ে উঁচু বাদাম গাছটির মাথার নিচে নেমে গেছে কুয়াশাঘেরা সূর্যটিও। আমার পা চলে না।

পরবর্তী পর্ব পড়ুন চিন্তাসূত্রে:
জীবনের যতিচিহ্নগুলো-১৬ ॥  মোহাম্মদ নূরুল হক

চলবে…
জীবনের যতিচিহ্নগুলো-১৪

মন্তব্য