যখনই বৃষ্টি নামে প্রকৃতিতে, তখনই মনেও বয়ে যায় শীতল হাওয়া। আর তখনই গ্রামের মানুষ হই হই করে নেমে পড়ে তুমুল বৃষ্টিতে, মাঠে-উঠোনে। কেউ কেউ ঝাপিয়ে পড়ে পুকুরেও। কিন্তু করোনাক্লান্ত এই অবসনগরী ঢাকায় বৃষ্টিতে ভেজার সাহস কারও হয় না। তাই ঘর থেকেই দেখতে হয় বৃষ্টি দৃশ্য, শুনতে হয় তার ঝরে পড়ার রিমঝিম-রিমঝিম গান। তেমনই কিছু ছবি এখানে দেওয়া হলো। ছবিগুলো রাজধানীর রামপুরা, কচুক্ষেত ও মিরপুর থেকে তোলা।
শাঙন গগনে ঘোর ঘনঘটা/ নিশীথযামিনী রে/ কুঞ্জপথে সখি, কৈসে যাওব/অবলা কামিনী রে। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
আজিকার রোদ ঘুমায়ে পড়িয়া ঘোলাট-মেঘের আড়ে/ কেয়া-বন-পথে স্বপন বুনিছে ছল ছল জল-ধারে।/ কাহার ঝিয়ারী কদম্ব-শাখে নিঝ্ঝুম নিরালায়,/ ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে অস্ফুট কলিকায়!/ বাদলের জলে নাহিয়া সে-মেয়ে হেসে কুটি কুটি হয়,/ সে-হাসি তাহার অধর নিঙাড়ি লুটাইছে বনময়। (জসীম উদ্দীন)
এঘোর রজনী মেঘের ঘটা, কেমনে আইলো বাটে/ আঙিনার মাঝে বধূয়া ভিজিছে দেখিয়া পরান ফাটে (চণ্ডীদাস)
দিনের আলো নিবে এলো সুয্যি ডোবে ডোবে/ আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে/ মেঘের উপর মেঘ করেছে, রঙের উপর রঙ/ মন্দিরেতে কাঁসর ঘন্টা বাজল ঠং ঠং/ ও পারেতে বৃষ্টি এলো, ঝাপসা গাছপালা/ এ পারেতে মেঘের মাথায় একশো মানিক জ্বালা/ বাদলা হাওয়ায় মনে পরে ছেলেবেলার গান/ বৃষ্টি পরে টাপুরটুপুর নদেয় এলো বান। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)