বাসযাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ১১টি পরিবহনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করা ভাড়া তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিকাল প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামান খানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানের সময় এই জরিমানা আদায় করা হয়।
এই প্রসঙ্গে রোকনুজ্জামান খান জানান, অভিযানকালে দেখা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার মীর ওয়ারিশপুরে নোয়াখালী-ঢাকা ও নোয়াখালী-কুমিল্লাগামী বাসগুলোতে যাত্রীদের কাছ থেকে স্থানভেদে ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া, নোয়াখালী-চট্টগ্রাম, নোয়াখালী-ফেনী ও লক্ষ্মীপুর-চট্টগ্রামগামী পরিবহনগুলোয় যাত্রীদের কাছ থেকে স্থানভেদে ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ সময় গাড়ির সুপারভাইজার ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। তারা টিকিটে নির্ধারিত ভাড়া উল্লেখ করেও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছেন। এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ঢাকাগামী পরিবহন একুশে এক্সপ্রেসকে ৫ হাজার টাকা, হিমাচল পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা, জননী পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা, মোহনা পরিবহনকে ৫ হাজার টাকা ও চট্টগ্রামগামী বাস সার্ভিস জোনাকী পরিবহনের ২টি বাসকে ৫হাজার ৫শত টাকা, বাধন পরিবহনকে ২ হাজার টাকা, শাহী পরিবহনকে ৪ হাজার টাকা, নীলাচল পরিবহনের ২টি বাসকে ৩ হাজার ৫শত টাকাসহ মোট ১১টি পরিবহনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা, বিআরটিএ নোয়াখালী সার্কেলের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করে র্যাব-১১।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, জনস্বার্থে ও জনগণের চাহিদা অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলবে।